Stevia Powder(স্টেভিয়া পাউডার)

আপনি চিনির পরিবর্তে কেন স্টেভিয়া পাউডার খাবেন।২০১৫ সালে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি স্টেভিয়াকে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে অনুমোদন দেয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড এন্ড ড্রাগ দ্বারা স্টেভিয়া নিরাপদ খাদ্য হিসাবে স্বীকৃত।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বিকাশ চাওলা বলেন, মিষ্টি স্বাদ এবং উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য শত শত বছর ধরে স্টেভিয়ার পাতা ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন স্টেভিয়ায় অ্যাসপার্টেম, সেকারিন, সুক্রলস বা কৃত্রিম মিষ্টি জাতীয় কোনো পদার্থ নেই। স্টেভিয়ায় কোনো কার্বোহাইড্রেট কিংবা ক্যালরি নেই যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। স্টেভিয়ায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস বিনষ্টকারী প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান।

মুলত চিনির পরিবর্তে সব কিছুতেই স্টেভিয়া পাউডার ব্যবহার করা যায়।যেমন চা,কফি,শরবত,পায়েস,বিস্কুট,সফট ড্রিংক,দই,মিষ্টি থেকে শুরু করে যে কোন কিছুর সাথেই খেতে পারেন।স্টেভিয়া ১কেজি পাউডার ৪০ থেকে ৫০কেজি চিনির সমান।

আবার চিনি বাচ্চাদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্টের জন্য বড় একটি বাধা। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।কিন্তু স্টেভিয়া খাওয়ালে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। 

চিনি নিয়ে ২০১৭ সালে ২৩০০০ লোকের উপর একটি গবেষণায় দেখা যায় যারা নিয়মিত চিনি খায় তাদের ভিতরে ২৩% মানুষই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।১৭ সালের আরো একটি গবেষণায় দেখা যায় শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ডোপামিন কেউ নিয়ন্ত্রণ করে এই চিনি।ফলে দেখা যায় স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া,খারাপ লাগা বা বিষন্নতাও তৈরী হয়।শরীরে ইনসুলিন বাড়িয়ে দেয় চিনি। যার ফলে কোষ বিভাজন ঘটে এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।৯ লক্ষ ১ হাজার ২৪৯ জন মানুষের উপর গবেষণা প্রমাণিত হয় যারা নিয়মিত চিনি খায় তাদের ভিতর ৮৩% মানুষই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে।

জাপানের মতো এতো উন্নত দেশের চল্লিশ শতাংশ মানুষই চিনির পরিবর্তে স্টেভিয়া খাচ্ছে।এটা শুধু জাপান নয় উন্নত দেশের ১৫ কোটি মানুষ প্রতিদিন স্টেভিয়া খায় এবং প্রতিনিয়ত এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে ।কারন চিনি মানব দেহের জন্য যতটা ক্ষতিকর ঠিক তার উল্টো স্টেভিয়া মানব দেহের জন্য এক অসাধারণ উপকারী উপাদান।গবেষনায় প্রমাণিত স্টেভিয়ায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার কারনে দেহে ক্যানসারের কোষকে বৃদ্ধি হতে দেয় না। অর্থাৎ, অ্যান্টি-ক্যানসার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।আবার স্টেভিয়ায় শর্করা না থাকায় অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ করে ফলে হাইপার টেনশনের ঝুকি কমায় এবং রক্তের সুগার ৩৫% পর্যন্ত কমাতে পারে। যেটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকার।এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। স্টেভিয়াতে ক্যালোরির পরিমাণ কম হওয়ায় ওজন কমাতে সাহায্য করে ও শরীরের ক্লান্তি দুর করে।বিশ্বে স্টেভিয়া নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে তার ভিতরে এখন পর্যন্ত কোন খারাপ রিপোর্ট বা রিভিউ পাওয়া যায়নি।
স্টেভিয়া পাউডার মুলত চিনির চেয়ে ৪০ থেকে ৫০গুণ বেশি মিষ্টি অর্থাৎ ১কেজি স্টেভিয়া পাউডার ৪০-৫০ কেজি চিনির সমান।
স্টেভিয়া পাউডার চা,কফি,সেমাই,পায়েস,শরবত,দই,মিষ্টি থেকে শুরু করে চিনির বিকল্প হিসেবে সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন।

তাই সিদ্ধান্ত আপনার।আমাদের এই স্টেভিয়া পাউডারটি অর্ডার করতে স্ক্রিনে দেয়া নাম্বারে কল করতে পারেন অথবা নিচের অর্ডার নাও এ ক্লিক করে অর্ডার করতে পারেন।ধন্যবাদ।